এবার আয়ারল্যান্ডকে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩ উইকেটে হারানোর মধ্য দিয়ে নিজেদের ১৫০তম ওয়ানডে জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। যে পথে লেগেছে ৪১১ ম্যাচ, এখনো অবধি ১৫০ বা তার বেশি ম্যাচ জয় পাওয়াদের মাঝে যা সবচেয়ে ধীর গতির ১৫০ জয়। অন্য কোনো দলের লাগেনি ৪০০ ম্যাচও। এদিকে মার্চে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে ১০ উইকেটে জিতে ১৪৯তম জয়ের দেখা পায় টাইগাররা।
ইংল্যান্ডে চলমান ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই সুযোগ ছিল ১৫০তম জয়ের মাইলফলক স্পর্শ করার। তবে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় অপেক্ষা বেড়েছে। গতকাল ১২ মে দ্বিতীয় ওয়ানডেও শুরু হয়েছে বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের দুই ঘন্টা পর। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিতে নিয়ে অপেক্ষার অবসান ঘটায় তামিম ইকবালের দল।
১৯৮৬ সালে প্রথম ওয়ানডে খেলা বাংলাদেশ এখনো অবধি ৪১১ ম্যাচে ১৫০ জয়ের বিপরীতে হেরেছে ২৫২ ম্যাচে, ফলাফল আসেনি ৯ ম্যাচে। প্রথম জয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ১২ বছর ও ২৩ ম্যাচ। ১৯৯৮ সালে ভারতের হায়দ্রাবাদে কেনিয়াকে হারিয়ে প্রথম জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। নিজের প্রথম ১০০ ম্যাচে মাত্র ৬ জয় ছিল বাংলাদেশের। ৫০ ম্যাচ জিততে টাইগারদের লেগে যায় ২০৬ ম্যাচ।
এরপর সময়টা বদলেছে, জয়ের সংখ্যা বেড়েছে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে দ্রুত। ২০০৯ সালের পর থেকে ভিন্ন এক বাংলাদেশকে দেখা যায়। ৫০ থেকে ১০০ ম্যাচ জয়ে টাইগারদের লাগে ১০৯ ম্যাচ। ২০১৬ সালে মিরপুরে আফগানিস্তানকে হারিয়ে শততম ওয়ানডে জয়ের দেখা পেয়েছিল বাংলাদেশ। আজ ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে এলো ১৫০ তম ওয়ানডে জয়। ১০০ থেকে ১৫০ জয়ে লেগেছে ৯৬ ম্যাচ।
১৫০ জয়ের মাঝে সবচেয়ে বেশি ৫১ জয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তৃতীয় সর্বোচ্চ নিউজিল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ ম্যাচে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এসেছে ৯ জয়। কেনিয়ার বিপক্ষে ৮, আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে সমান ৭ টি করে জয়। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো গেছে ৬ ম্যাচে। ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে এসেছে ৫ টি করে জয়।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের সংখ্যাটা ৪, বারমুডার বিপক্ষে ২। ১ টি করে জয় অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, হংকং, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। বাংলাদেশ ছাড়াও ওয়ানডেতে ১৫০ বা তার চেয়ে বেশি জয় পাওয়া পূর্ণ সদস্যের দলগুলো হল অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান।